1. sufalcse55@gmail.com : Sufal Kumar : Sufal Kumar
  2. admin@worldvoice24.com : World Voice24 : World Voice24
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
Sun, 16 February 2025, 02:47 AM

আমাকে কেউ অপহরণ করেনি’ আমি আমার স্বামীর কাছে আছি..এমপি কন্যা সোহেলী

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২১
  • ২১৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগ নেত্রী খালেদা খানমের মেয়ে সোহেলী আহম্মদকে কেউ অপহরণ করে নি বলে তিনি এক হলফনামার মাধ্যমে দাবী করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো ঢাকা নোটারী পাবলিকের একটি হলফনামা আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে এই দাবী করেন।

গত ১২ আগষ্ট এমপি কন্যা এই হলফনামা দেন। ঢাকা জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মোঃ মানজুর হোসাইন সাক্ষরিত হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমি আমার সাবেক স্বামী মাদকাসক্ত বিল্লাল হোসেন লিটনকে পাঁচ মাস আগেই তালাক দিয়ে সাজেদুর রহমান প্পপুকে বিয়ে করে ঘর সংসার করছি। ফলে নিজের অপহরণের বিষয়ে তার সাবেক স্বামী ঝিনাইদহ সদর থানায় যে মামলা করেছেন তার কোন আইনগত ভিত্তি নেই। তাকে অপহরণের কোন প্রশ্নই ওঠে না। বরং তিনি বর্তমান স্বামী সাজেদুর রহমান প্পপুকে নিয়ে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করছেন।

৩ পৃষ্ঠার হলফনামায় এমপি কন্যা সোহেলী আহম্মেদ দাবী করেছেন, তার সাবেক স্বামী বিল্লাল হোসেন লিটন মাদকাসক্ত, কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী, নারী কেলেংকারী ও প্রতারক হিসেবে পরিচিত লাভ করে। তিনি নিজের ও একমাত্র সন্তানের ভবিষ্যাতের কথা চিন্তা করে লিটনকে তালাক দেন এবং গত ৩ মার্চ ২০২১ তারিখে সাজেদুর রহমান প্পপুকে মুসলিম শরিয়া আইন মোতাবেক বিয়ে করেন। তালাক প্রদানের পর স্ত্রী দাবী করে অপহরণ মামলা দায়ের করা একজন সাবেক স্বামীর কোন আইনগত ভিত্তি নেই।

হলফনামায় সোহেলী আহম্মেদ দাবী করেন, তার সাবেক স্বামী কাঞ্চনপুর ট্রাক টার্মিনাল পাড়ার শফি উদ্দীন মুন্সির ছেলে বিল্লাল হোসেন লিটনকে প্রথমে আদর্শপাড়ার কাজী হারুন অর রশিদের নিকাহ রেজিষ্টার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তালাক দেন। তখন লিটন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এ ভাবে তিনি তার সাবেক স্বামীকে ৫/৬ বার তালাক দেন। তালাক দেওয়ার পর প্রতিবারই সে আর মাদক সেবন করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু লিটন মাদক সেবন ও ব্যবসা থেকে ফিরে না আসায় সর্বশেষ তাকে তালাক দিয়ে পাপ্পুর সঙ্গে ঘর সংসার করছি।

এরপর লিটন পরিকল্পিত ভাবে আমার মা আ’লীগের মহিলা এমপি ও পিতাকে জিম্মি করে ভয় ভীতি দেখিয়ে আমার মায়ের অসুস্থতার খবর দিয়ে বাসায় ডেকে আনে। বাসায় আটকিয়ে রেখে জোর পুর্বক আবারো একটি নিল কাগজে সাক্ষর করিয়ে নেয় এবং ফেসবুকে স্বামী স্ত্রীর মতো ঘনিষ্ট ছবি তুলে পোষ্ট করতে থাকে যাতে আমার বর্তমান স্বামী পাপ্পু তার উপর রুষ্ট হয়ে ওঠে।

এ ভাবে তিন মাস আমি আমার মায়ের বাসায় বন্দি জীবন কাটানোর পর পালিয়ে বর্তমান স্বামীর কাছে চলে আসি। এরপরেই জানতে পারি সাবেক স্বামী আমাকে স্ত্রী দাবী করে ঝিনাইদহ সদর থানায় অপহরণ মামলা করেছে। সেই মামলায় আমার বর্তমান স্বামী সাজেদুর রহমান প্পপুকে আসামী করা হয়েছে। যা হয়রানীর নামান্তর। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। আমি সেচ্ছায় স্বজ্ঞানে পাপ্পুকে বিয়ে করেছি।

বিষয়টি নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খালেদা খানম প্রথম থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে আসছেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার অবস্থান ও সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মেয়েকে অপহরণ করেছে। তিনি তার মেয়ের জীবন নিয়েও আশংকা প্রকাশ করেন। মহিলা এমপি তার মেয়েকে অপহরণের দাবীর কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পত্র পত্রিকা ও অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর নিজ কন্যা এই হলফনামা পাঠিয়ে মায়ের দাবীর সঙ্গে দ্বিমত পোষন করলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সর্বসত্ব সংরক্ষিত 2023 WorldVoice24 || All Rights Reserved.