স্মার্টফোনে থাকা নানা অ্যাপ থেকে আপনার তথ্য চুরি হতে পারে। এসব অ্যাপ হ্যাক হওয়ার খবর প্রায়ই শোনা যায়। ফেসবুকসহ অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ থেকেও তথ্য হাতিয়ে নিতে বসে থাকে সাইবার দুর্বৃত্তরা। তাই অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকা উচিত। তা না হলে আপনার বাড়ি কোথায়, আপনার কাজের জায়গা, আপনি কি খেতে ভালোবাসেন, আপনার স্বাস্থ্য কেমন ইত্যাদি অনেক খুঁটিনাটি আপনার মোবাইল ফোনের তথ্যকোষ থেকে জানা সম্ভব।
এসব তথ্য আহরণ করে আপনার স্মার্টফোনে ইনস্টল বা আমদানি করা নানা ধরনের অ্যাপ। অনেক সময় আপনার অজান্তেই এসব তথ্য, অ্যাপগুলোর পরিচালক কোম্পানি পাচার করে নানা বাণিজ্যিক সংস্থাকে। সংস্থাগুলো এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনাকে নানা পণ্যের বিজ্ঞাপন পাঠাতে থাকে।
অপরিচিত কণ্ঠ আপনাকে ইন্সুরেন্স পলিসি, ব্যাংকের লোন অথবা নতুন কোনও শপিং অফারের কথা জানায়। আপনি ভাবেন কীভাবে এরা আপনার নম্বর পেল। আসলে তথ্য যে বিভিন্ন সংস্থার হাতে আপনি নিজেই তুলে দিয়েছেন সেটা বেমালুম ভুলে যান। কত রকমের অ্যাপ পাওয়া যায় প্লে বা অ্যাপ স্টোরে। যেগুলোর সাহায্যে আপনি পথঘাট চিনতে চান, রেস্তোরাঁ থেকে বাড়িতে খাবার অর্ডার করেন, আপনার ফিটনেসের পরামর্শ নেন, গাড়ি বা হোটেল বুক করেন অথবা ঘরে বসে সিনেমা দেখতে পারেন।
যখন নতুন কোনো অ্যাপ স্মার্টফোনে আমদানি করেন তখন সেই অ্যাপ কয়েকটি বিষয়ে অনুমতি চায়। ফোনের ক্যামেরা, ফটো অ্যালবাম, আপনি কোথায় থাকেন, আপনার ফোনে তুলে রাখা নম্বর ইত্যাদি তথ্য ভাণ্ডারের প্রবেশাধিকার (access) দাবি করে। আপনাকে বোতাম টিপে জানাতে হয়, ‘হ্যাঁ’ (allow) অথবা ‘না’ (deny)। অনেকেই কোনও চিন্তাভাবনা না করেই ‘হ্যাঁ’ বলে দেন।
অথচ আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সব অ্যাপের প্রয়োজন হয় না। পথনির্দেশক, খাবার সরবরাহকারী বা অ্যাপ ট্যাক্সিকে আপনার অবস্থান জানানোটা জরুরি। কিন্তু গেম বা ভিডিও তোলার অ্যাপের এই তথ্যের কোনও প্রয়োজন নেই। তাই কোনও গেম অ্যাপ যদি আপনার ফোনের তথ্যভাণ্ডারের প্রবেশাধিকার চায় আপনি ‘না’ বলে দিন। কারণ এই তথ্য নিয়ে অনৈতিকভাবে এই অ্যাপের কর্তৃপক্ষ কোনও কোম্পানিকে গোপনে বিক্রি করে দিতে পারে।
তাই আপনার মোবাইল ফোনের তথ্যকোষের দরজার চাবি সহজে কোনও অ্যাপকে দেবেন না। দেওয়ার আগে অন্তত দুবার ভেবে দেখবেন।