1. sufalcse55@gmail.com : Sufal Kumar : Sufal Kumar
  2. admin@worldvoice24.com : World Voice24 : World Voice24
শাক-সবজির বাজার আরও চড়েছে - World Voice24
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
Sun, 07 September 2025, 04:56 AM

শাক-সবজির বাজার আরও চড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩০৫ বার পড়া হয়েছে

বন্যার ধাক্কায় চড়তে থাকা শাক-সবজির দামে স্বস্তি ফেরেনি, উল্টো নতুন করে পেঁয়াজ, আলু ও শাক-সবজির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

রাজধানীর মিরপুর ও কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন খুচরা দোকান ঘুরে দেখা যায়, পেঁপে, পটল, বেগুন ও কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা করে। খুচরায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

কারওয়ানবাজারে দেশীয় ভালো জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮২ টাকা থেকে ৮৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৭৫ টাকায় নেমেছিল। এই সপ্তাহে নতুন করে বাজারে আসা বড় আকারের পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের চেয়ে এর মান খারাপ হলেও হোটেল-রেঁস্তোরায় এগুলোর চাহিদা রয়েছে।

বড়বাগ কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা রুবেল আহমেদ বলেন, “শাক-সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে বেশ চড়া। গত দুই দিন ধরেই সবজির দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। “আমরা ৩৭ টাকা করে পেঁপে কিনে এনেছি। এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকার নিচে বিক্রি করলে চলে না।

একইভাবে ঢ়েঁড়শের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছে। পটলের দাম কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়ে গেছে এই সপ্তাহে, বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকায়।”

একইভাবে তার দোকানে প্রতিটি লাউ ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙার কেজি ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বেগুন করলা ৮০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। একেবারেই ছোট ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, যা চারটি মিলে এক কেজি হবে কি না সন্দেহ রয়েছে।

এই বাজারের মুদি দোকানি মিলন মিয়া বলেন, “বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ পাওয়াই যায় না। ক্রস জাতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা বা তার বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। তাই এই মুহূর্তে তা দোকানে রাখিনি।”

চলতি সপ্তাহে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা করে বেড়েছে জানিয়ে এই দোকানি বলেন, এই সপ্তাহে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায় আলু বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

কারওয়ানবাজারের বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজ-রসুনের তুলনায় আদার দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে আড়াইশ টাকায়। আর দেশি নতুন আদার দাম চাওয়া হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮২ টাকা থেকে ৮৫ টাকায়।

গত মাসের শেষ দিকে এসে বাজারে আকস্মিকভাবে খাবার তেলের দাম বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে বর্ধিত ওই দামেই থিতু হয়ে আছে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম। এর সঙ্গে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম।

মুদি দোকানি আবুল কাশেম বলেন, “সয়াবিন তেলের দাম কমে আসবে বলে মাসের শুরুতে মনে হলেও তা এখন আর হচ্ছে না। চলতি সপ্তাহে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৫ টাকা থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ৮৮ টাকা। গত এক মাসে ভোজ্যতেল লিটার প্রতি ১০ টাকা করে বেড়েছে।

“এখন শোনা যাচ্ছে বোতলের গায়েরও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বাড়িয়ে ধরবে কোম্পানিগুলো। এক লিটারের বোতলে এমআরপি বা মূল্য বাড়িয়ে ১১৫ টাকা ধরছে। কিন্তু আমরা প্রতি লিটার ১১০ টাকায় রাখতে পাচ্ছি।”

সম্প্রতি তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সিটি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সে কারণে আমাদেরও বাড়াতে হয়েছে।”

চাল, ডাল, মুরগির মাংসসহ আরও কিছু নিত্যপণ্যের দাম গত সপ্তাহের মতো রয়েছে বলে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বসত্ব সংরক্ষিত 2023 WorldVoice24 || All Rights Reserved.