দেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবায় অব্যবস্থাপনা নিয়ে রোগীদের অভিযোগ তদারকির জন্য হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালকসহ (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৭ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।
ড. বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হেলথ রেগুলেটরি কমিশন রযেছে। হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে রোগীদের অভিযোগ কমিশনে জানানো যায়। এই কমিশন রোগীদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকে। আমাদের দেশে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে। যে কারণে হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে ওই সম্পূরক আবেদনটি করেছিলাম।
‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অধ্যাদেশ-১৯৮২’ যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম ২০১৮ সালের জুনে হাইকোর্টে রিটটি করেছিলেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৪ জুলাই হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত সেপ্টেম্বর বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি (ইউজার ফি) নির্ধারণের অগ্রগতি জানাতে বলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ১৯৮২ সালের দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অধ্যাদেশের বিধান যুগোপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়নের অগ্রগতিও জানাতে বলা হয়।
আজ বিষয়টি শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে ওঠে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এর আগে রিটকারীর পক্ষ হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে ওই সম্পূরক আবেদনটি করেন। শুনানি নিয়ে আদালত ওই রুল জারির নির্দেশ দেন।