খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ভুয়া নামের তালিকা এবং মৃত ব্যক্তির নামে কার্ড তৈরি করাসহ বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি ঠেকাতে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান। তার এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধা পাওয়া সাধারণ মানুষ।
দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ওএমএসের আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রায় ১০ হাজার হতদরিদ্র পরিবার পাচ্ছে এ সুবিধা।
তবে সারাদেশের মতো দেবিদ্বারেও সনাতন পদ্ধতিতে চাল নিয়ে চলছিল চালবাজি। এই চালবাজি ঠেকাতে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন দেবিদ্বারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান। এজন্য তিনি ‘ওএমএস দেবিদ্বার’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করেছেন। এতে উপকারভোগীর নাম, ঠিকানা, ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, আঙুলের ছাপসহ ১৩ ধরনের তথ্য রয়েছে।
এলাকার সুবিধাভোগীরা বলেন, ‘এখন টিপসই দেই তার পর চাউল নিয়ে চলে আসি। ইউএনও স্যার যে পদ্ধতিতে চাল দেওয়া শুরু করছে এখন আর চেয়ারম্যান মেম্বাররা চাল চুরি করতে পারবে না। কারণ চুরি করার মতো এখন আর সুযোগ নেই’।
গরিবের চাল নিয়ে জনপ্রতিনিধি ডিলার বা অন্য কেউ যাতে অসততার আশ্রয় নিতে না পারে সে লক্ষ্যে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, তালিকায় নাম নেই কিন্তু তারা চাল পাচ্ছেন। এমনকি দেশের বাইরে আছেন তার পরেও চাল পাচ্ছেন এরকম অনেক প্রমাণ পেয়েছি। কোনোরকম দুর্নীতি করা বা ভুয়া ব্যক্তিকে দেখিয়ে চাল উত্তোলন করার সুযোগ আর থাকবে না।
চাল উত্তোলনের তথ্য কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার বা সার্ভারেও জমা হওয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পারে, কারা সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগী।