রাসেল মাহমুদ।। দৃশ্য করোনা মহামারি’তে এখনো দূর্দশা কাটেনি প্রান্তিক পর্যায়ের মৎস্য খামারীদের। খাবার ও পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি হলেও মাছের দাম খরচের তুলনায় কম হওয়ায় বেশ লোকসান পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া এলাকার ঘের ব্যবসায়ী রিপন হোসেন বলেন, এঅঞ্চলে আমার চারাপোনা উৎপাদনের ১০বিঘা জমির ঘের রয়েছে। এখান থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারী এসে চাহিদামত নিয়ে যেত। এতে বেশ লাভবান হলে করোনা মহামারির পরবর্তী সময় থেকে প্রচুর লোকসান গুনতে হচ্ছে।
করোনা পূর্ববর্তী সময়ে ১০বিঘা ঘেরে চারাপোনা উৎপাদনে ১৭-১৮ লাখ টাকা ব্যায় করে ২৪-২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যেত। আর এখন খরচের টাকা টাও ওঠানো সম্ভব হয়না। বরং কিছু ঘাটতি থেকে যায়। অন্যদিকে মাছের খাদ্য, খৈল, ভূষি ইত্যাদির দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় আসল টাকা তুলতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রূপদিয়া এলাকার আরেক পোনা উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী জসিম উদ্দীন জানান, এব্যবসা এখন বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে কিন্তু বছর চুক্তিতে ঘের নেয়ার কারনে ছাঁড়ে যেতেও পারছিনা। হঠাৎ ব্যবসা মন্দার কারন অদৃশ্য মহামারী।
অন্যান্য ব্যবসারমত এব্যবসাও থমকে গেছে। বাইরের ব্যাপারী না আসলে এই আর মন্দা কাটিয়ে ওঠা সম্ভবনা। তার উপর মৎস খাদ্যের দাম হঠাৎ করে কেজিতে ৫-৭ টাকা হারে বেড়েগেছে। সরকারের কাছে দাবী এই খাতে সরকারী-বেসরকারী সংস্থার সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা প্রদান করা হোক।